Holy Trio

Holy Trio

Wednesday, June 6, 2012

স্বামী শিষ্য সংবাদ - ২১ বল্লী : Darwin Theory Vs Hindu Darshan

Animal Kingdom বা নিম্নপ্রানীজগতে আমরা সত্য সত্যই struggle for existence, survival of  the fittest প্রভৃতি নিয়ম স্পষ্ট দেখতে পাই । তাই Darwin এর theory  কতকটা সত্য বলে প্রতিভাত হয় । কিন্তু human kingdom বা মনুষ্যজগতে, যেখানে rationality র বিকাশ, সেখানে এ নিয়মের উল্টোই দেখা যায় । মনে কর, যাঁদের আমরা really great men  বা ideal বলে জানি, তাঁদের বাহ্য struggle  একেবারেই দেখতে পাওয়া যায় না । Animal  Kingdom বা মনুষ্যেতর  প্রাণীজগতে instinct বা স্বাভাবিক জ্ঞানের প্রাবল্য । মানুষ কিন্তু যত উন্নত হয়, ততই তাতে rationalityর বিকাশ । এইজন্য animal  kingdom এর ন্যায় rational  human  kingdom এ পরের ধ্বংসসাধন করে progress হতে পারে না । মানবের সর্বশ্রেষ্ঠ evolution একমাত্র sacrifice দ্বারা সাধিত হয় । যে পরের জন্য যত sacrifice করতে পারে, মানুষের মধ্যে সে তত বড় । আর নিম্নস্তরের প্রাণী জগতে যে যত ধ্বংস করতে পারে, সে তত বলবান জানোয়ার হয়। সুতরাং, Struggle Theory উভয় রাজ্যে equally applicable হতে পারে না । মানুষের struggle হচ্ছে মনে। মনকে যে যত control করতে পেরেছে, সে তত বড় হয়েছে। মনের সম্পূর্ণ বৃত্তিহীনতায়  আত্মার বিকাশ হয় । Animal  Kingdom এ স্থূল  দেহের সংরক্ষণে যে struggle পরিলক্ষিত হয়, human plane of existence এ  মনের ওপর আধিপত্য লাভের জন্য বা সত্ত্ববৃত্তিসম্পন্ন  হবার জন্য সেই struggle চলেছে।জীবন্ত  বৃক্ষ ও পুকুরের জলে পতিত  বৃক্ষছায়ার ন্যায় মনুষ্যেতর প্রাণী ও মনুষ্যজগতে struggle  বিপরীত দেখা যায়।

(স্বামী শিষ্য সংবাদ - ২১ বল্লী )

Monday, April 30, 2012

Divine Love - Complete Works 6


"God is love, and love is God. And God is everywhere. After seeing that God is love and God is everywhere, one does not know whether one stands on one's head or [on one's] feet — like a man who gets a bottle of wine and does not know where he stands. . . If we weep ten minutes for God, we will not know where we are for the next two months. . . We will not remember the times for meals. We will not know what we are eating. [How can] you love God and always be so nice and businesslike? . . .
[People] are all mad. Children are [mad] after their games, the young after the young, the old [are] chewing the cud of their past years; some are mad after gold. Why not some after God? Go crazy over the love of God as you go crazy over Johns and Janes. Who are they? [People] say, "Shall I give up this? Shall I give up that?" One asked, "Shall I give up marriage?" Do not give up anything! Things will give you up. Wait, and you will forget them. 
[To be completely] turned into love of God — there is the real worship!...Such should be the love of God — without asking anything, without seeking anything. . .
…Worship Him as dearer than all your possessions, dearer than all your relatives, [dearer than] your children. [Worship Him as] the one you love as Love itself. There is one whose name is infinite Love. That is the only definition of God
…Now, if the woman loves the man, she cannot love another man. If the man loves the woman, he cannot love another [woman]. Such is the nature of love.
… [Similarly], if a man loves God, how can he love anything else? How can anything else stand before that mighty love of God? Everything else vanishes [before it]. How can the mind stop without going crazy to find [that love], to realize, to feel, to live in that?
Finding love, you will never [want] anything [else]...
At last, love, lover, and beloved become one. That is the goal. ... Why is there any separation between soul and man, between soul and God? . . . Just to have this enjoyment of love. He wanted to love Himself, so He split Himself into many . . . "This is the whole reason for creation", says the lover. "We are all one. 'I and my Father are one.' Just now I am separate in order to love God…”
All the ideals of love — [God] as [our] father, mother, friend, child — [are conceived in order to strengthen devotion in us and make us feel nearer and dearer to God]. The intensest love is that between the sexes. God must be loved with that sort of love. The woman loves her father; she loves her mother; she loves her child; she loves her friend. But she cannot express herself all to the father, nor to the mother, nor to the child, nor to the friend. There is only one person from whom she does not hide anything. So with the man. ... The [husband-] wife relationship is the all-rounded relationship. The relationship of the sexes [has] all the other loves concentrated into one. In the husband, the woman has the father, the friend, the child. In the wife, the husband has mother, daughter, and something else. That tremendous complete love of the sexes must come [for God] — that same love with which a woman opens herself to a man without any bond of blood — perfectly, fearlessly, and shamelessly. No darkness! She would no more hide anything from her lover than she would from her own self. That very love must come [for God]. These things are hard and difficult to understand. You will begin to understand by and by, and all idea of sex will fall away. "Like the water drop on the sand of the river bank on a summer day, even so is this life and all its relations."
All these ideas [like] "He is the creator", are ideas fit for children. He is my love, my life itself — that must be the cry of my heart! ..."

- Swami Vivekananda

Friday, April 13, 2012

গুরুকৃপায় মুক্তি ও স্বরূপ দর্শন - ঠাকুরের অভয়দান


শ্রীরামকৃষ্ণ  (মাস্টারের প্রতি)- কেউ কেউ মনে করে, আমার বুঝি জ্ঞানভক্তি হবে না, আমি বুঝি বদ্ধজীব । গুরুর কৃপা হলে কিছুই ভয় নাই ।
 একটা ছাগলের পালে বাঘ পড়েছিল । লাফ দিতে গিয়ে, বাঘের প্রসব হয়ে ছানা হয়ে গেল । বাঘটা মরে গেল, ছানাটি ছাগলের সঙ্গে মানুষ হতে লাগলো । তারাও ঘাস খায়, বাঘের ছানাও ঘাস খায় । তারাও "ভ্যা ভ্যা" করে, সেও  "ভ্যা ভ্যা" করে । ক্রমে ছানাটা খুব বড় হলো । একদিন ওই ছাগলের পালে আর একটা বাঘ এসে পড়ল । সে ঘাসখেকো বাঘটাকে দেখে অবাক ! তখন দৌড়ে এসে তাকে ধরলে । সেটাও "ভ্যা ভ্যা" করতে লাগলো । তাকে টেনে হিচড়ে জলের কাছে নিয়ে গেল । বললে, "দেখ, জলের ভিতর তোর মুখ দেখ - ঠিক আমার  মতো দেখ । আর এই নে খানিকটা মাংস - এইটে খা ।" এই বলে তাকে জোর করে খাওয়াতে লাগলো । সে কোনো মতে খাবে না - "ভ্যা ভ্যা" করছিল ।রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে । নূতন বাঘটা বললে, "এখন বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা; এখন আয় আমার সঙ্গে বনে চলে আয় ।"
"তাই গুরুর কৃপা হলে আর কোনো ভয় নাই! তিনি জানিয়ে দেবেন, তুমি কে, তোমার স্বরূপ কি ।
"একটু সাধন করলেই গুরু বুঝিয়ে দেন, এই এই । তখন সে নিজেই বুঝতে পারবে, কোনটা সৎ, কোনটা অসৎ । ঈশ্বরই সত্য, এ-সংসার অনিত্য  ।"

"মা, তুমিই ব্রজের কাত্যায়নী"

তুমি স্বর্গ, তুমি মর্ত্য মা, তুমি সে পাতাল ।
তোমা হতে হরি ব্রহ্মা, দ্বাদশ গোপাল ।
দশ মহাবিদ্যা মাতা দশ অবতার ।
এবার কোনরূপে আমায় করিতে হবে পার ।

কথামৃত

 শ্রীরামকৃষ্ণ - বেশি শাস্ত্র পড়াতে আরও হানি হয় ।
"শাস্ত্রের সার জেনে নিতে হয় । তারপর আর গ্রন্থের কি দরকার !
"সারটুকু জেনে ডুব মারতে হয় - ঈশ্বরলাভের জন্য ।
"আমায় মা জানিয়ে দিয়েছেন, বেদান্তের সার - ব্রহ্ম সত্য, জগত মিথ্যা । গীতার সার - দশবার গীতা বললে যা হয়, অর্থাত 'ত্যাগী, ত্যাগী' ।"
---------------
শ্রীরামকৃষ্ণ - গীতার সার মানে - হে জীব, সব ত্যাগ করে ভগবানকে পাবার জন্য সাধন কর ।
নবদ্বীপ - ত্যাগ করবার মন কই হচ্ছে?
শ্রীরামকৃষ্ণ - তোমরা গোস্বামী, তোমাদের ঠাকুর সেবা আছে, - তোমাদের সংসার ত্যাগ করলে চলবে না। তাহলে ঠাকুর সেবা কে করবে? তোমরা মনে ত্যাগ করবে ।
"তিনিই লোকশিক্ষার জন্য তোমাদের সংসারে রেখেছেন - তুমি হাজার মনে কর, ত্যাগ করতে পারবে না - তিনি এমন প্রকৃতি তোমায় দিয়েছেন যে, তোমায় সংসারের কাজ করতেই হবে ।
"কৃষ্ণ অর্জুনকে বলছেন - তুমি যুদ্ধ করবে না, কি বলছ? - তুমি ইচ্ছা করলেই যুদ্ধ থেকে নিবৃত্ত হতে পারবে না, তোমার প্রকৃতিতে তোমায় যুদ্ধ করবে ।"
---------------
"যোগ ভোগ । তোমরা গোস্বামীবংশ তোমাদের দুই-ই আছে।
"এখন কেবল তাঁকে প্রার্থনা কর, আন্তরিক প্রার্থনা - 'হে ঈশ্বর, তোমার এই ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্য - আমি চাই না - আমি তোমায় চাই ।'
"তিনি তো সর্বভূতেই আছেন - তবে ভক্ত কাকে বলে? যে তাঁতে থাকে - যার মন-প্রাণ-অন্তরাত্মা সব, তাঁতে গত হয়েছে 







Monday, March 12, 2012

নাম মাহাত্ম্য - উপায়

শ্রীরামকৃষ্ণ - তাঁর নাম কল্লে সব পাপ কেটে যায় ! কাম, ক্রোধ, শরীরের সুখ-ইচ্ছা - এ সব পালিয়ে যায় ।
একজন ভক্ত - তাঁর নাম করতে ভালো কই লাগে?
শ্রীরামকৃষ্ণ - ব্যাকুল হয়ে তাঁকে প্রার্থনা কর, যাতে তাঁর নামে রুচি হয় । তিনিই মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করবেন -
শ্রীরামকৃষ্ণ - ত্বন্নামে অরুচি ! বিকারে যদি অরুচি হলো, তাহলে আর বাঁচবার পথ থাকে না । যদি একটু রুচি থাকে, ডাক না কেন? যদি নাম করতে অনুরাগ দিন দিন বাড়ে, যদি আনন্দ হয়, তাহলে আর কোনো ভয় নাই, বিকার কাটবেই কাটবে । তাঁর কৃপা হবেই হবে ।
"যেমন ভাব তেমনি লাভ । দুজন বন্ধু পথে যাচ্ছে । এক জায়গায় ভাগবত পাঠ হচ্ছিল । একজন বন্ধু বললে, 'এস ভাই, একটু ভাগবত শুনি।' আর-একজন উঁকি মেরে দেখলে । তারপর সে সেখান থেকে চলে গিয়ে বেশ্যালয়ে গেল । সেখানে খানিকক্ষণ পরে তার মনে বড় বিরক্তি এলো । সে আপনা-আপনি বলতে লাগলো, "ধিক আমাকে ! বন্ধু আমার হরি কথা শুনছে আর আমি কোথায় পড়ে আছি!' এদিকে যে ভাগবত শুনছে, তার ধিক্কার হয়েছে । সে ভাবছে, 'আমি কি বোকা! কি ব্যর ব্যার করে বকছে, আর আমি এখানে বসে আছি! বন্ধু আমার কেমন আমোদ-আহ্লাদ করছে।' এরা যখন মরে গেল, যে ভাগবত শুনেছিল, তাকে যমদূত নিয়ে গেল; যে বেশ্যালয়ে গিছিল, তাকে বিষ্ণুদূত বৈকুন্ঠে নিয়ে গেল ।
ভগবান মন দেখেন । কে কি কাজে আছে, কে কোথায় পড়ে আছে তা দেখেন না । 'ভাবগ্রাহী জনার্দন ।'
"কর্তাভজারা মন্ত্র দিবার সময় বলে এখন 'মন তর' । অর্থাত এখন সব তর মনের উপর নির্ভর করছে ।
"তারা বলে, 'যার ঠিক মন, তার ঠিক করণ, তার ঠিক লাভ।'

Friday, March 9, 2012

প্রেমতত্ত্ব - কথামৃত

শ্রীরামকৃষ্ণ  - তোমরা 'প্যাম' 'প্যাম' কর; কিন্তু প্রেম কি সামান্য জিনিস গা? চৈতন্যদেবের 'প্রেম' হয়েছিল । প্রেমের দুটি লক্ষণ । প্রথম - জগত ভুল হয়ে যাবে । এত ঈশ্বরেতে ভালবাসা যে বাহ্যশুন্য ! চৈতন্যদেব "বন দেখে বৃন্দাবন ভাবে, সমুদ্র দেখে শ্রীযমুনা ভাবে ।"
"দ্বিতীয় লক্ষণ - নিজের দেহ যে এত প্রিয় জিনিস, এর উপরও মমতা থাকবে না, দেহাত্মবোধ একেবারে চলে যাবে ।
"ঈশ্বরলাভের কতকগুলি লক্ষণ আছে । যার ভিতর অনুরাগের ঐশ্বর্য প্রকাশ হচ্ছে তার ঈশ্বরলাভের আর দেরী নাই ।
"অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি ? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া, সাধু সেবা, সাধুসঙ্গ, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন, সত্যকথা - এই সব ।
"এই সকল অনুরাগের লক্ষণ দেখলে ঠিক বলতে পারা যায়, ঈশ্বর  দর্শনের আর দেরী নাই । বাবু কোন খানসামার বাড়ি যাবেন, এরূপ যদি ঠিক হয়ে থাকে, খানসামার বাড়ির অবস্থা দেখে ঠিক বুঝতে পারা যায়! প্রথমে বন-জঙ্গল কাটা হয়, ঝুলঝাড়া হয়; ঝাঁটপাট দেওয়া হয়। বাবু নিজেই সতরঞ্চি, গুরগুরি এই সব পাঁচ রকম জিনিস পাঠিয়ে দেন । এই সব আসতে দেখলেই লোকের বুঝতে বাকি থাকে না, বাবু এসে পড়লেন বলে ।"